মোবাইলের বাটারির চার্জ নিয়ে আমাদের সবারই কম-বেশ দুঃশ্চিন্তা থাকে। এই পোস্টে আমি আপনাকে জানাতে চলেছি কিভাবে আপনার ফোনটি ব্যবহার করলে ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে; যার ফলে মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘক্ষণ থাকবে এবং দীর্ঘদিন আপনার ব্যাটারিটি ভালো থাকবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
মোবাইলের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়
মোবাইলের ব্যাটারি ভালো রাখার জন্য আমাদের ৫০টি টিপ্স:
চার্জিং টিপস:
- চার্জ সম্পূর্ণভাবে শেষ না করা মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ ০% হওয়ার আগেই মোবাইলটি চার্জে দিন।
- অফিসিয়াল চার্জার ব্যবহার মোবাইলের সাথে আসা অফিসিয়াল/অরিজিনাল চার্জার ব্যবহার করুন। অরিজিনাল চার্জার নষ্ট হয়ে গেলে আপনার ফোন ও ব্যাটারির সাথে ম্যাচ করে ভালো ব্র্যান্ডের চার্জার ব্যবহার করুন।
- সবসময় ফাস্ট চার্জিং ব্যবহার না করা নরমাল অথবা রেগুলার চার্জিং পদ্ধতিতে চার্জ করা ব্যাটারির জন্য ভালো।
- উপযুক্ত তাপমাত্রায় চার্জ করা একেবারে বেশি গরম বা একেবারে বেশি ঠান্ডায় মোবাইলের ব্যাটারি চার্জ করা এড়িয়ে চলতে হবে।
- প্রতিনিয়ত সারারাত চার্জ না দেওয়া সারারাত চার্জ না দিয়ে চার্জ সম্পূর্ণ হওয়ার সাথে সাথে চার্জ থেকে খুলে ফেলুন।
- ‘ব্যাটারি সেভিং মোড ব্যাবহার করা কিছু কিছু মোবাইলে এটি চালু করে ফোন অপটিমাইজ করে ব্যাটারি ভালো রাখা যায়।
- ফোনের ফার্মওয়ার আপডেট রাখা ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি প্রায়ই চার্জিং এলগরিদম উন্নত করে।
- চার্জিং-এর সময় ফোন ব্যবহার এড়িয়ে চলা বিশেষ করে গেমস না খেলা অথবা অধিক র্যাম বা প্রসেসর ইনটেন্সিভ অ্যাপ ব্যবহার না করা।
- কম বিদ্যুৎ বা দূর্বল চার্জারে চার্জ না দেওয়া এর ফলে ভোল্টেজ হয়তো ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না।
- প্রতিনিয়ত ওয়ারলেস চার্জার ব্যবহার না করা; তারযুক্ত চার্জারে চার্জ দেওয়ার তুলনায় তারবিহীন চার্জারে চার্জ দিলে মোবাইল ফোন অধিকতর গরম হয়।
- চার্জিং-এর সময় মোবাইলের কাভার খুলে রাখা; এর ফলে মোবাইল থেকে তাপ দ্রুত অপসারণ হয়।
- অতিরিক্ত চার্জ করা এড়িয়ে চলা; চার্জ ১০০% হওয়ার সাথে সাথেই মোবাইল চার্জার থেকে খুলে ফেলুন।
- চার্জিং-এর সময় মোবাইল ঠান্ডা রাখা; মোবাইল গরম হলে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমতে থাকে।
- সঠিক সময়ে চার্জ দেওয়া; অল্প বা ঘন ঘন চার্জ দেওয়া, সম্পূর্ণ চার্জ শেষ হওয়ার পর চার্জ দেওয়ার থেকে ভালো।
ব্যবহারিক অভ্যাস-সমূহ:
15. দীর্ঘদিনের জন্য মোবাইল ব্যবহার না করে ফেলে রাখা: অনেকদিন মোবাইল ব্যবহার করতে না চাইলে এটি চার্জ করে রেখে দিন।
16. সম্পূর্ণ চার্জ শেষ না করা: মোবাইলের চার্জ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই চার্জে দিন।
17. লিমিট ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ্স: যেসব অ্যাপ সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছেন না, সেগুলোকে ক্লোজ করে দিন।
18. স্ক্রীন ব্রাইটনেস কমানো: স্ক্রীন ব্রাইটনেস কমালে ব্যাটারির চার্জ কম খরচ হয়।
19. অটো-ব্রাইটনেস/অটো-অ্যাডাপ্টিভ মোড ব্যবহার: এটি ব্যবহার করলে আপনার ফোন আশেপাশের পরিবেশের আলোর উপর নির্ভর করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রীন ব্রাইটনেস এডজাস্ট করে নিবে।
20. স্ক্রীন টাইম-আউট কমানো: খুব বেশি প্রয়োজন না হলে স্ক্রীন টাইম-আউট কমিয়ে দেওয়া উচিত। এর ফলে ব্যবহার না করলে মোবাইলের ডিসপ্লের আলো খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে এবং মোবাইলের চার্জ কম খরচ করবে।
21. ডার্ক মোড ব্যবহার: OLED স্ক্রীনে ডার্ক ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যাটারি চার্জ সেভ করে।
22. ভ্রাইব্রেশন মোড বন্ধ করা: বিশেষ করে নোটিফিকেশনের ক্ষেত্রে ভাইব্রেশন মোড বন্ধ করলে ব্যাটারি অনেকটা সেভ হয়।
23. সেলুলার ডাটা পরিবর্তে ওয়াই-ফাই ব্যবহার: মোবাইলে সেলুলার ডাটা ব্যবহারের তুলনায় ওয়াই-ফাই ইউজ করলে ব্যাটারির চার্জ কম খরচ হয়।
24. অপ্রয়োজনীয় কানেক্টিভিটি বন্ধ করে রাখা: ব্যবহার না করা অবস্থায় ব্লুটুথ, এনএফসি, ইত্যাদি বন্ধ করে রাখা।
25. লোকেশন সার্ভিস বন্ধ করা: যখন দরকার তখন ইউজ করবেন, নইলে বন্ধ রাখবেন।
26. পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা: অপ্রয়োজনী অ্যাপগুলোর নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখা।
27. লাইভ ওয়ালপেপার এর ব্যবহার সিমিত করা: এগুলো ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ করে দেয়।
28. অতিরিক্ত তাপমাত্রা পরিহার করা: অতি-গরম অথবা অরি-ঠান্ডা পরিবেশে মোবাইল ব্যবহার না করা।
29. ঠান্ডা জায়গায় ফোন রাখা: উত্তাপ ফোনের ব্যবহার কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
30. মোবাইল ফোন আপডেট রাখা: সফটওয়ার আপডেটে প্রায়ই ব্যাটারির অপটিমাইজেশন যুক্ত হয়।
শেষ কথা:
উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আশাকরি আপনার মোবাইলের ব্যাটারির পার্ফরমেন্স দীর্ঘদিন ভালো থাকবে। তবে এটা ঠিক যে, দিন দিন অবশ্যই আমাদের ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমতে থাকবে। তবে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা তুলনামূলক কম কমতে থাকবে।